নিষিদ্ধ ক্রিম বিক্রিতে সতর্ক করে ভোক্তা অধিকারের বিজ্ঞপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ০৯ জুন ২০২৩

সম্প্রতি বাজারে বিভিন্ন ধরনের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ও লোশনে মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। যে কারণে ১৮টি ক্রিম ও লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাজারে এসব ক্রিম ও লোশন বিক্রিতে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি ভোক্তাদের এসব ক্রিম কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিষিদ্ধ যেসব ক্রিম

পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম, আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড।

এছাড়া চীনের শুয়াংজো বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম ও ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের ডা. ডেভি স্কিন লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের ফোরকে প্লাস এবং জাওলি নামের দুটি ক্রিম রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়।

ভোক্তা অধিদপ্তর সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, বাজার তদারকিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান/কসমেটিকসের দোকানে বিএসটিআই কর্তৃক ঘোষিত নিষিদ্ধ ওইসব কসমেটিকস বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এসব ক্রিম ব্যবহারে স্কিন ক্যান্সারসহ ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভোক্তা সাধারণ।

কসমেটিকস ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের করণীয়:

কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উপাদান, ওজন, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেখে ক্রয় করা। বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ কসমেটিকস ক্রয় করা থেকে বিরত থাকা।

>> কসমেটিকস আসল না নকল তা যাচাই করে ক্রয় করা;

>> চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে আকৃষ্ট হয়ে কসমেটিকস ক্রয় থেকে বিরত থাকা;

>> বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে দেশের নামসহ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এবং আমদানিকারকের তথ্য দেখে ক্রয় করা।

কসমেটিকস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীগণের করণীয়:

>> বিদেশি কসমেটিকস বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা সম্বলিত তথ্য থাকতে হবে;

>> বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে মোড়কে মূল্য বসিয়ে বিক্রয় না করা;

>> বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ কসমেটিকস বিক্রয় বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ না করা;

>> মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ ও মূল্যবিহীন কসমেটিকস বিক্রয় বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ না করা।

জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য প্রতিরোধকল্পে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভেজাল, নকল বা নিষিদ্ধ কসমেটিকস বিক্রয়, বিপণন ও মজুতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনএইচ/এমএইচআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।