বাজেট প্রতিক্রিয়া ডর্প
মূল্যস্ফীতিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাধাগ্রস্ত হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ০১ জুন ২০২৩
এবারের বাজেট বড় ঘাটতির বাজেট। মূল্যস্ফীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সেবামূলক খাতসমূহেও এর প্রভাব পড়বে। নানামুখী অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানো ও করজাল যদি বিস্তৃত না করা হয়, তাহলে ঘাটতি মোকাবিলা করা মুশকিল হবে।
প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানিয়েছেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওরের (ডর্প) উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এতে সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক এসব কথা বলেন।
তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে পানি ও স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সরকারের আরও অগ্রসর ভূমিকা রাখার প্রত্যাশার কথা জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো জনগণের মৌলিক সেবা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ একান্ত জরুরি। বাজেটে মৌলিক সেবা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ ও তার যথাযথ ব্যবস্থাপনা না হলে অন্যান্য উন্নয়ন খাতগুলোতেও এর প্রভাব পড়বে। তাই ন্যায্যতা, প্রয়োজনীয়তা ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান ডর্পের পক্ষে বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ভোগব্যয় কমিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ করা, আভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধি, করজাল বিস্তৃত করা, আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় ব্যয় সংকোচন নীতিমালা গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-৬ অর্জন করতে হলে বর্তমান বরাদ্দ ১২ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ হাজার কোটি টাকা করতে হবে। এবারের বাজেটে এটি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হলে আগামী বছরগুলোতেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট পেশ করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাজেট অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদের ১৫তম বাজেট এটি।
নতুন অর্থবছরের এ বাজেট প্রস্তাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, চারটি মূল স্তম্ভের ওপর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি।
এসএম/এএএইচ/এএসএম