প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে গ্যাস সিলিন্ডারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আড়াই শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আগে এ খাতে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর থাকলেও এবার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেট পাস হলে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে উত্থাপিত বাজেটে এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়রন অর স্টিল (এলপিজি সিলিন্ডার)-এর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান ভ্যাট ৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে সাত শতাংশ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর ফলে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়বে। স্থানীয়ভাবে এলপিজি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ কাচাঁমাল আমদানির ক্ষেত্রে বিগত ১২ বছর ধরে প্রজ্ঞাপনের রেয়াতি সুবিধা ভোগ করে আসছে। রাজস্ব আহরণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনটি হতে বিভিন্ন স্টিল শিট এবং ওয়েল্ডিং ওয়্যার নামীয় পণ্যসমূহ বিলুপ্ত করা এবং প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ রাখার প্রস্তাব করছি।
ইউরোপ যুদ্ধের পর জ্বালানি ও ডলার সংকটে চলতি বছর কয়েকবারই বেড়েছে ও কমেছে এলপিজি গ্যাসের দাম। বর্তমানে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৭৪ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিইআরসি বলছে, প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ৮৬ টাকা ২৫ পয়সা। এ হারে সিলিন্ডারের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হবে। যদিও বাজারে নির্ধারিত দামে মিলছে না সিলিন্ডার গ্যাস। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।
এসএম/ইএ/জেআইএম