রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ০১ জুন ২০২৩
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে যথেষ্ট বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, এখন আমাদের রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ দিয়ে যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি একথা জানান।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ২০০৭-০৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয় পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৫.১২ শতাংশ হ্রাস পায়। বহিঃখাতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাস আয় হ্রাসের ফলে চলতি হিসেবে ঘাটতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৪ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে বেড়ে ২০২১-২২ সময়ে ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। পাশাপাশি, রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন ও বৈদেশিক সাহায্যনির্ভর প্রকল্প বাস্তবয়নে ধীরগতির ফলে আ্থিক হিসাবও নেতিবাচক অবস্থানে চলে আসে। চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবের যুগপৎঘাটতি লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জুন ২০২১ এর ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে কমে জুন ২০২২ এ ৪১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন এবং ক্রমান্বয়ে আরও হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২৯.৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে, মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার বিনিময় হার ২০২২ এ ছিল ৯৩ দশমিক ৫ টাকা, এখন দাঁড়িয়েছে প্রতি ডলার ১০৮ দশমিক ১ টাকায়। বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক চেষ্টা বাজারে সাময়িক তারল্য সংকট তৈরি করে। এর প্রভাবে ব্যাংক উৎস হতে ঘাটতি অর্থায়নে সরকারের সুদ ব্যয় বৃদ্ধি পায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত দেড় দশকে দেশে সরকার নতুন ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০০৭ সালের জরিপে দেশে মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪ কোটি ৭৩ লাখ। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে আরও ২ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। ২০২৩ সালের জরিপ অনুযায়ী দেশে এখন মোট কর্মসংস্থানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ জনে।
ইএআর/জেএইচ/এএসএম