বাংলাদেশে ঋণ বিতরণ ও প্রতিশ্রুতিতে জাইকার রেকর্ড
জাপানের ২০২২-২৩ অর্থবছরে অর্থাৎ গতবছরের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মোট ৩৩১ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
এর ফলে বাংলাদেশে সংস্থাটির আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) ঋণের প্রতিশ্রুতি এবং বিতরণ উভয়ই তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অঙ্কে পৌঁছালো।
রোববার (২৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাইকা জানিয়েছে, বাংলাদেশে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মোট ৩৩১ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। জাইকার আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) ঋণ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে জড়িত মূল প্রকল্প ৫টি হলো, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫ নর্দান রুট)। এ প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৩৩৯ কোটি ৯০০ ইয়েন। এ ছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরমিাণ ৩ হাজার ২৪৬ কোটি ২০০ ইয়েন), মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরমিাণ ১০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২ লাখ ইয়েন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরমিাণ ৫ হাজার ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ইয়েন) এবং জয়দবেপুর-ঈশ্বরদী সকেশনরে (ই/এস) ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প (ঋণের পরমিাণ ৪২২ কোটি ৮ লাখ ইয়েন)।
এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশকে ৩৭৩ বিলিয়ন ইয়েন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেয় সংস্থাটি, যা স্থানীয় পর্যায়ে সংস্থাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি ছিল।
ওডিএ ঋণ, অনুদান এবং কারিগরি সহযোগিতা স্কিমের মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশের সঙ্গে এর অংশীদারত্বের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলেছে, যার ফলশ্রুতিতে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোগত চাহিদা মোকাবিলার পথ আরও সুগম হচ্ছে। ভবিষ্যতেও জাইকা স্থানীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে জাপানের এই বৃহত্তম সংস্থা।
এইচএস/এসএনআর/জিকেএস