জিডিপিতে অবদান মাত্র ২ শতাংশ, ৬ চ্যালেঞ্জে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত
কৃষি প্রক্রিয়াকরণ বাংলাদেশে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। অথচ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এ খাতের অবদান মাত্র ২ শতাংশ। বর্তমানে এ খাতে ছয়টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই খাত সামনে আরও সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার (২২ মে) নগরীর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট সম্মেলন কক্ষে ‘ফাইন্ডিংস অ্যান্ড শেয়ারিং অব রিসার্চ অন প্রসপেক্টাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অব এগ্রো প্রসেসিং কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এগ্রো প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এপিবিপিসি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. জিন্নাত রেহানা, ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন প্রফেসর ড. মো. বেলাল হোসেন, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় খসড়া গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ময়মনসিংহ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ।
খসড়া গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে আসে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ফলে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কৃষিপণ্য অপচয় রোধ সম্ভব হয়। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক খাত। তারপরও জিডিপিতে অবদান মাত্র ২ শতাংশ। বর্তমানে এ খাতে ছয়টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বৈশ্বিক সংকট, কাঁচামাল প্রসেসিংয়ের স্বল্পতা, বাড়তি খরচ, কোয়ালিটি অ্যান্ড সেফটি ইসুজ অব ইনপুটস, স্ট্রিক্ট রেগুলেটরি কন্ট্রোল এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা।
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং মূলত উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং ক্রেতাদের মধ্যে কৃষি দ্রব্যের উৎপাদন ও সরবরাহের একটি ব্যবস্থা। তারপরও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে কাঁচামাল সংগৃহীত হয়। উদ্ভিদ-ভিত্তিক কাঁচামাল সংগ্রহ সাধারণ মডেল। এর মাধ্যমে একজন সাব-কন্ট্রাক্টর উৎপাদকদের কাছ থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে এবং শিল্পে সরবরাহ করে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, প্রায় নয়-দশমাংশ কৃষক মধ্যস্থতাকারীর দ্বারস্থ হচ্ছে।
এমওএস/এমএইচআর