কার্গো নিষেধাজ্ঞা : ক্ষতির মুখে পড়বে তৈরি পোশাক খাত


প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ১০ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশের  সঙ্গে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহনে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আবারও ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক খাত। তাই জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজিএমইএ ভবনে এক জরুরি সংবাদ  সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, বছরে যুক্তরাজ্যের ১৫ শতাংশ পোশাক রফতানি হয়। মূলত বিভিন্ন জরুরি অবস্থায় এই রফতানি করা হয়। যদি কোনো কারণে বিমানযোগে তৈরি পোশাক পাঠাতে না পারা যায় তাহলে আদেশ বাতিল করে দেবে ওই দেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবো আমরা। পাশাপাশি পোশাকখাত তথা পুরো দেশ ইমেজ সংকটে পড়বে। ঢাকা থেকে অন্য দেশ হয়ে যুক্তরাজ্যে অন্য কার্গো বিমান প্রবেশ করতে পারবে। এতে করেও আমাদের খরচ বেড়ে যাবে।

সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাজ্য আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি বাজার। গত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে মোট রফতানি হয়েছে তিন বিলিয়ন ডলার। যা রফতানি আয়ের ১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ৬ মাসে রফতানি হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার। যা মোট রফতানির ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এতে বলা যায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এ অবস্থায় কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যে পণ্য পাঠাতে না পারলে তা সিংগাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড ও দুবাই হয়ে পণ্য পাঠাতে হবে। এতে পণ্যে খরচ বাড়বে, সময়ও বেশি লাগবে। ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের প্রতিযোগি সক্ষমতা কমবে।

সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনতিবিলম্বে যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে এদেশের বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করতে হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আহ্বান জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বরের পর ঢাকা থেকে অষ্ট্রেলিয়ায় সরাসরি বিমানযোগে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হল যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা। পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তা বিষয়ক দফতর বিশ্বের ২০টি দেশের ৩৮টি ঝুকিপূর্ণ বিমানবন্দরের তালিকায় শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।

উল্লেখ, শাহজালাল বিমানবন্দর ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সংস্থা বাংলাদেশ বিমানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র ও দক্ষ জনবল না থাকার অজুহাতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ বিমানকে দেয়া এক চিঠিতে শাহজালাল থেকে যুক্তরাজ্যের সরাসরি ফ্লাইটে কার্গো পণ্য পরিবহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানায়।

এসআই/এআরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।