নানা চাপে নাজুক পোশাকখাত: বিজিএমইএ সভাপতি
বেসরকারিখাতে সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী পোশাকশিল্পখাত বর্তমানে নানা চাপের কারণে নাজুক বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তার মতে, এ অবস্থায় পোশাকশিল্পের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের অব্যাহত সহায়তার কোনো বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘পোশাকশিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিজিএমইএ পর্ষদ সদস্য ছাড়াও অন্য উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের পোশাকশিল্প নানা কারণে চাপে। এরমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, সে তুলনায় পণ্যের দাম বাড়েনি। করোনায় সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছিল। রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব প্রণোদনা আছে, তা আরও বাড়ানো দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সুপারিশগুলো আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, নন-কটন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার এবং আমাদের রপ্তানি সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিয়ে এ খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ (রপ্তানি মুল্যের) হারে বিশেষ প্রণোদনা দিতে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এ বিশষ প্রণোদনা পাওয়া গেলে রপ্তানি যেমন বাড়বে, নতুন বিনিয়োগও আসবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেবাখাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে। সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়বে।
ফারুক হাসান বলেন, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ করে আগামী পাঁচ বহর পর্যন্ত কার্যকর করতে হবে। এটা করা হলে উদ্যাক্তারা মধ্য মেয়াদি ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে পারবেন।
তিনি বিবিধ খরচ অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে করপোরেট কর হার ১২ শতাংশ হারে আরোপের দাবি জানান।
আসন্ন বাজেটে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, একইভাবে আমরা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানাই। যেহেতু নগদ সহায়তা কোনো ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসঙ্গত।
ইএআর/এমকেআর/জিকেএস