বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সফলতা পুরস্কার দিয়ে নির্ধারণ করা যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বাণিজ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন

কর্মসংস্থান সহ নানা খাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সফলতা শুধুমাত্র পুরস্কার দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম রংপুরে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বাইসাইকেলের ফ্যাক্টরিতে। শুনলাম তাদের স্বপ্নের কথা। লক্ষাধিক শ্রমিক আছে, তারপরও বার বার বলছে শিগগির আরও অন্তত ১০ থেকে ২০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ভালো লাগলো প্রাণ-আরএফএল এর ওই কথা শুনে।

আরও পড়ুন: স্বর্ণসহ পাঁচ রপ্তানি পদক পেল প্রাণ-আরএফএল 

রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আরএফএল এর পুরো নাম রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। স্বাভাবিকভাবে একটু ভালো লাগে রংপুর নাম আছে বলে, আমি তো রংপুরের মানুষ তাই। বড় কারখানাসহ অনেক কিছু আছে। এরপরও যেটা ভালো লেগেছে কচুরিপানা দিয়ে কী বানাচ্ছে সেটা আবার বিদেশে পাঠাবে। ভারি সুন্দর লাগছে। আমাকে বললো কারখানায় কত লোক, তারচেয়ে অনেক বেশি লোক বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এসব সফলতা খালি পুরস্কার দিয়ে নির্ধারণ করা ঠিক হবে না।

‘রপ্তানির দিক দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে’
বাংলাদেশ এক্সপোর্টে (রপ্তানি) সম্ভবনাময় দেশ। প্রাণ-আরএফএল এক্সপোর্টের দিক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী।

রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০ প্রদান অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, অবশ্যই আমাদের ভালো লেগেছে। আমরা সম্মানিত হলাম, দেশের পক্ষ থেকে। আমাদের দায়িত্বভার অনেক বেড়ে গেলো। আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্ব সবারই। বিশেষ করে আমরা যারা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানি রয়েছি, এটা আমাদের দায়িত্ব এক্সপোর্টকে এগিয়ে নেওয়ার। যেহেতু আমরা সম্মানিত হয়েছি, অবশ্যই আমাদের উৎসাহ বেড়েছে এবং দায়িত্বভারও বেড়েছে। অবশ্যই আগামী দিনে আমাদের এক্সপোর্টকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা আরও বেশি শক্তি দিয়ে কাজ করে যাবো।

আরও পড়ুন: জাতীয় রপ্তানি ট্রফি পেল ৭১ প্রতিষ্ঠান 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের দেশের এক্সপোর্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো, আমাদের এক্সপোর্টকে যেন আরও ত্বরান্বিত করতে পারি। এক্সপোর্টকে যেন আরও এগিয়ে নেওয়া যায় এবং বাংলাদেশ যেন আরও এগিয়ে যায় সেই কামনা করছি।

রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পাঁচ প্রতিষ্ঠান। কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় এ শিল্পগ্রুপকে স্বর্ণসহ পাঁচ রপ্তানি পদক দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের এগ্রো প্রসেসিং খাতে (তামাকজাত পণ্য ব্যতীত) তিনটি পুরস্কারই পেয়েছে প্রাণ। এ খাতে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড স্বর্ণপদক, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড রৌপ্যপদক ও হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছে। অপরদিকে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক পেয়েছে যথাক্রমে আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড ও বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।

আরও পড়ুন: ব্যবসা-বাণিজ্যে এশিয়ায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর 

প্রাণ ডেইরির পক্ষে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী বাণিজ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়া প্রাণ এগ্রোর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক একেএম মইনুল ইসলাম মইন, হবিগঞ্জ এগ্রোর পক্ষে নির্বাহী পরিচালক অনিমেষ সাহা, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক তৌকিরুল ইসলাম এবং বঙ্গ প্লাস্টিকের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কাজী আব্দুল কাইয়ুম পুরস্কার গ্রহণ করেন।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে পা রাখে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪৫টি দেশে প্রাণ-আরএফএল এর পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।