দাপট দেখালো ওরিয়ন ইনফিউশন
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে। এতে সপ্তাহজুড়েই কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের লেনদেন শুরু হওয়ার আগে ওরিয়ন ইনফিউশনের প্রতিটি শেয়ার দাম ছিল ২৭৯ টাকা ৬০ পয়সা। এরপর দাম বাড়তে বাড়তে সপ্তাহ শেষে ৩৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ার দাম বেড়েছে ৫৬ টাকা ৯০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তার আগে ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। এছাড়া ২০২০ সালে ১০ শতাংশ, ২০১৯, ২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬ সালে ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।
২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি। এর মধ্যে ৪০ দশমিক ৬১ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার আছে।
এদিকে শেয়ারের দাম বাড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটির শেয়ার বড় অঙ্কে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি।
এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ১০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, আরডি ফুডের ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এমএএস/এমকেআর/জিকেএস