লেনদেন বাড়লো ২৩ শতাংশ, সূচক মিশ্র, পতনে দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, তার প্রায় দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের মধ্য দিয়ে গেলো সপ্তাহ পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। এরপরও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান ও বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। তবে কমেছে ইসলামী শরীয়াহ পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ২৩ শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ১৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। বাজার মূলধন বেড়েছে একশ কোটি টাকার কম। আর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে এক পয়েন্টের কম।

এদিকে, তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট ছিলো সপ্তাহজুড়েই। ফলে দুইশর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৭টির শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির। আর ২৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ১২ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো।

প্রধান মূল্য সূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৮ শতাংশ।

ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচকও পতনের মধ্যেই রয়েছে। গত সপ্তাহে পতনের মাধ্যমে টানা পাঁচ সপ্তাহ সূচকটি পতনের মধ্যে থাকলো। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ।

এদিকে, সপ্তাহের শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৫ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মেলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার মূলধন বাড়ার সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৬৫৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪৫ কোটি ৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১২৫ কোটি ৮৫ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেমিনি সি ফুড।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইউনিক হোটেল, ওরিয়ন ইনফিউশন ও অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।

এমএএস/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।