করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
প্রতীকী ছবি

ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায় আগাম কর প্রত্যাহারের এ প্রস্তাব করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

জসিম উদ্দিন বলেন, শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি, যেটি বর্তমানে ৫ শতাংশ। অগ্রিম আয়করের হার আগে ৩ শতাংশ ছিল।

তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে নারী ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি। আয়কর আইনের মৌলিক বিষয়গুলো আবশ্যিকভাবে আন্তর্জাতিক ও দেশের বিনিয়োগ চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে যুগোপযোগী আয়কর আইন প্রণয়ন করার কথা বলা হয়।

আসন্ন বাজেট সামনে রেখে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- শুল্কায়ন, পণ্য খালাস এবং সব ধরনের শুল্ক ও কর পরিশোধ ত্বরান্বিত করার জন্য অনলাইন প্রক্রিয়াসহ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা। উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে আরোপিত সব ধরনের শুল্ক ও কর এবং খালাস প্রক্রিয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করা।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যকর এবং জোরদার করে ফাঁকি দেওয়া কর আদায়ের জন্য প্রণোদনা হিসেবে নিয়মিত স্কেলের বেতন ভাতাদির অতিরিক্ত হিসেবে কর কর্মকর্তাকে পুরস্কার দেওয়ার বিধান বাতিল করার দাবি জানানো হয়। এতে কর আদায়ে হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করে এফবিসিসিআই। রাজস্ব আহরণ এবং রাজস্ব পলিসি কার্যক্রম পৃথক করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বিভাগ গঠন করা।

উৎপাদনশীল, রপ্তানিমুখী গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র শিল্পসহ নারী উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে খাতভিত্তিক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলিকে যৌথ ব্যবস্থাপনায় বন্ডেড ওয়্যার হাউজ এবং বিতরণ ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে ই-কমার্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষম করা। রপ্তানি বৃদ্ধির সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট সব রপ্তানি ও শিল্প খাতে করমুক্ত রেয়াতি হারে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি সরবরাহের প্রস্তাব করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

ইএআর/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।