আধাঘণ্টায় ৮০ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক অন্তত চারবার ওঠা-নামা করেছে। এর মধ্যেই দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকার বেশি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি রয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক দুই পয়েন্ট কমে যায়।
তবে লেনদেনের সময় পাঁচ মিনিট গড়ানোর আগেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। লেনদেনের আট মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক আট পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ২০ মিনিটের মাথায় সূচক আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এ পর্যায়েও অল্প সময়ের মধ্যে সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে পায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫০ মিনিটে ডিএসইতে ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। আর ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে চার পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক শূন্য দুই পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে এক পয়েন্ট। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৪১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।
এমএএস/ইএ/এএসএম