৩৪ বাফার গুদাম নির্মাণে ফের বাড়ছে সময়-ব্যয়
সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ প্রকল্পে ফের বাড়ছে সময় ও ব্যয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। মূল অনুমোদিত প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে জুন ২০২১ নাগাদ বাস্তবায়নের কথা ছিল। এর পরে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ জুন ২০২২ নাগাদ বাড়ানো হয়। নতুন করে জুন ২০২৫ নাগাদ মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। প্রকল্পটির দেশে ৩৪টি জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ, সারের মজুত সুনিশ্চিত করে কৃষির উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন। আপদকালীন সময়ের জন্য সার মজুতকরণ এবং দ্রুতসময়ে প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে সার পৌঁছানো।
প্রধান কার্যক্রম
৬৮ হাজার ৪২৮৩ দশমিক ৫৫ বর্গমিটার ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ, ১৬৯ দশমিক ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক সেবা, এক হাজার ৫৪০টি সাব-সয়েল ইনভেস্টিগেশন, ফার্নিচার (লিয়াজোঁ ও সাইট অফিসের জন্য কেনা)। দুটি গাড়ি, ৭৩টি কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ (লিয়াজোঁ ও সাইট অফিস) অফিস সরঞ্জাম (লিয়াজোঁ ও সাইট অফিস)।
প্রকল্প সংশোধনের কারণ
জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব এবং অনেক ক্ষেত্রে জমির দাম বেড়ে যাওয়া, প্রকল্পের পূর্ত কাজের ব্যয় বৃদ্ধি, নতুন খাত অন্তর্ভুক্তি ও প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের দোরগোড়ায় স্বল্পখরচে সার পৌঁছানো সম্ভব হবে। কৃষকেরা অধিক ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে এবং দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। অধিকন্তু এ গোডাউনগুলোতে পর্যাপ্ত সার নিরাপদে সংরক্ষণ করা যাবে। যা দ্বারা ক্রান্তিকালে কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব, পূর্ত কাজের ব্যয় প্রাক্কলন পুনর্নির্ধারণ এবং কতিপয় নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রকল্পটির প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়ক এ প্রকল্পটি জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিধায় এর প্রথম সংশোধন প্রস্তাব বিবেচনা করা যেতে পারে।
এমওএস/এমএএইচ/এমএস