ভারতের সঙ্গে সংযোগ সড়ক উন্নয়নে ২৮৮৬ কোটি টাকার ঋণ
ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে ‘সিলেট-চারখাই-শেওলা মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পে ২ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারি হতে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটি সিলেট জেলার সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ এবং বিয়ানীবাজার উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন>> আসছে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাড়তি অর্থায়ন, সুবিধা পাবে বাংলাদেশও
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত দ্রুত ও সহজতর করা, মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় যানবাহন এবং ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বয়স্ক, নারী, শিশু এবং অন্যান্য অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা এবং বিবিআইএন করিডোর, সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর, বিসিআইএম করিডোর, সার্ক করিডোরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
প্রধান কার্যক্রম: ২৪৭ দশমিক ১৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৪২ দশমিক ৮০ লাখ ঘনফুট মাটির কাজ, ৪২ দশমিক ৯৮৫ কিলোমিটার পেভমেন্ট নির্মাণ, ১ হাজার ৫৭৫ জন-মাস পরামর্শক সেবা, ৩ হাজার ১৭৬.৮৪ মিটার স্ট্রাকচার নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৩১টি কালভার্ট, সেতু ৩টি ৮৩৭.১৯ মিটার, ফ্লাইওভার ১টি ৬৭০.৫৬ মিটার, ওভারপাস ৬টি ১৩৩৮.০৯ মিটার, আন্ডারপাস ২টি ১৬ মিটার, ফুট ওভার ব্রিজ ৪টি ১২০ মিটার, পথচারী পারাপার ৭টি। একটি আইটিএস এবং ওএফসি সিস্টেমের ইনস্টলেশন, একটি টোল প্লাজা, প্রাইস অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং ইউটিলিটি স্থানান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন>> উন্নয়ন কাজে বৈদেশিক ঋণের পালে হাওয়া
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট থেকে শেওলা স্থলবন্দর পর্যন্ত যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের যাতায়াত দ্রুত ও সহজতর হবে। এছাড়া বিবিআইএন করিডোর, সাসেক করিডোর, এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর, বিসিআইএম করিডোর, সার্ক করিডোরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
এমওএস/ইএ/এমএস