রমজানের তৃতীয় কার্যদিবসে এসে ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার
রমজানের প্রথম দুই কার্যদিবস টানা দরপতনের পর তৃতীয় কার্যদিবসে এসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। পাশাপাশি দাম কমার থেকে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়ে প্রায় চার’শ কোটি টাকা হয়ে গেছে। আর দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে প্রায় তিনগুণ প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে এ বাজারটিতে মূল্য সূচক কমেছে।
ডিএসইতে মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়লেও গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও শেয়ারবাজারে ক্রেতা সংকট দেখা যায়। ক্রেতা সংকটে পড়ে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে থাকে লেনদেনের পুরো সময়জুড়ে।
ক্রেতা সংকটে পড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন করে আরও দুই প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। এতে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকে।
এমন বিপুল পরিমাণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকার দিনে ডিএসইতে ৮০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭টির এবং ১৯৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট অমে ২ হাজার ২০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে দুই’শ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া ডিএসইর লেনদেন বেড়ে প্রায় চার’শ কোটি টাকা হয়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এই লেনদেন বাড়াতে সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। টাকার অঙ্কে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিক হোটেলের ২১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২১ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এডিএন টেলিকম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- জেমিনি সি ফুড, জেনেক্স ইনফোসিস, আরডি ফুড, সি পার্ল বিচ রিসোর্টের, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং শাহিনপুকুর সিরামিক।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ৯৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১টির এবং ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।
এমএএস/এমআরএম/জেআইএম