আমাদের মানবসম্পদ দিন দিন কমে যাচ্ছে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সবচেয়ে বড় আফসোস হলো যে পরিমাণ আমাদের মানবসম্পদ দরকার, যে পরিমাণ আমাদের বুদ্ধিজীবী দরকার সেটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এটা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে পরিমাণ অবকাঠামো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হচ্ছে সেগুলো ম্যানেজ করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইসিই ভবন মিলনায়তনে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি অ্যান্ড সাসটেইনেবল বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও বুয়েটের মধ্যে জ্বালানি গবেষণা ও সক্ষমতা বাড়াতে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিদ্যুৎ , জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড মহামারি এবং বর্তমান রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ সারা পৃথিবীতে একটি আলাদা দৃশ্য তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কস্ট অ্যান্ড প্রাইস; কীভাবে আমরা এটা মোকাবিলা করবো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন চিন্তাভাবনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে ভবিষ্যতে তার স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশ যদি গঠন করতে হয় অর্থনৈতিকভাবে লায়াবিলিটি (দায়) দরকার। তিনি এক বক্তব্যে বলেছেন- বাংলাদেশের মাটি আছে, পানি আছে, মানুষ আছে, পাট আছে; এবং উনার এ বক্তব্যের কারণ হলো যে আমার দেশের সম্পদ আমার দেশের মতো করেই ব্যবহার করতে হবে। অর্থনৈতিক জীবনমান যদি উন্নত করতে হয় তা আমাদের মতো করে চিন্তা করে এটা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি সত্যিকার অর্থে রিসার্চ করতে চাই তাহলে আমাদের জায়গায় শক্ত একটি ডিড থাকা দরকার এবং এই রিসার্চ যেন ওয়ার্কঅ্যাবল হয়। হাইড্রোকার্বনেটে প্রচুর গবেষণা জমা আছে। আমি দেখলাম অনেক বই সেখানে। এই জিনিসগুলো কার্যকরী করা এবং একটি অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে কাজ করার জন্য একটা বড় ম্যানেজমেন্ট দরকার।
খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের প্রায় ১২ লাখের ওপর ডিজেল পাম্প রয়েছে। এখানে আমরা হিউজ পরিমাণ কৃষকদের ভর্তুকি দেই। সারে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দেই। আমরা বিদ্যুতেও অনেক বড় ভর্তুকি দেই। আড়াই হাজার সোলার প্ল্যান্ট করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি কিন্তু চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে এটা ব্যালান্স করবে কীভাবে। কৃষক এটা ম্যানেজ করতে চায় না; সে জানে না সোলার প্যানেল কীভাবে ম্যানেজ করতে হয়।
আল-সাদী ভূঁইয়া/বিএ/এমএস