প্রকল্পে দেশীয় অর্থ খরচে দক্ষ হলেও অদক্ষ বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে
বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেশীয় অর্থ খরচে দক্ষ হলেও অদক্ষ বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে। ফলে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পে দেশীয় অর্থায়নের পুরোটাই খরচ হলেও বৈদেশিক ঋণ ছোঁয়া হয়নি। চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) এমন চিত্র দেখা গেছে।
রেকর্ড পরিমাণে বরাদ্দ কমছে চলতি অর্থবছরে। এ বছর এডিপিতে বরাদ্দ ছিল দুই লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কমে তা হয়েছে দুই লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই বৈদেশিক ঋণ। তবে সংশোধিত এডিপিতে দেশীয় অর্থায়ন এক টাকাও কমেনি।
বুধবার (১ মার্চ) শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হয়। এনইসি সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট চলছে। ফলে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ টাকা খরচ করতে পারেনি। কোনো মন্ত্রণালয় আবার বৈদেশিক ঋণ ছাড় করতে পারেনি। প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার না করার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এনইসি সভায়। সভায় বৈদেশিক ঋণ ব্যবহার ও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা আসে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, সংশোধিত এডিপিতে ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কমেছে। এই বিষয়ে সরকার সজাগ আছে। সরকারি অর্থ ব্যবহারে সবাই দক্ষ। কারণ আমরা আমাদের দেশের আইন-কানুন জানি। কিন্তু বৈদেশিক ঋণ ব্যবহারে নানা জটিলতা আছে। কারণ বৈদেশিক ঋণ একেক দেশের একেক আইনে আসে।
সচিব বলেন, জিওবি ব্যবহারে সক্ষমতা বাড়ছে। দেশি অর্থ খরচ সহজ। উন্নয়ন সহযোগীদের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা জটিল।
এমওএস/কেএসআর/এএসএম