বিভিন্ন প্রকল্পে কৃচ্ছ্রসাধন, সাশ্রয় হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা

বৈশ্বিক সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে কাটছাঁট করা হয়েছে। এর ফলে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) এটা ধরা হয়েছে। সংশোধিত এডিপির পরিমাণ ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
বুধবার (১ মার্চ) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশোধিত এডিপি অনুমোদন হবে। বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চলছে। ফলে, অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ টাকা খরচ করতে পারেনি। কোন মন্ত্রণালয় আবার বৈদেশিক ঋণ ছাড়ও করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থনীতির চাপের কারণে চলতি অর্থবছরের তিন মাস পার হওয়ার পরই প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে সরকার। এ ছাড়া অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা করা হয়। ‘এ’ শ্রেণির প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তা পুরোটাই খরচ করা হবে। ‘বি’ শ্রেণির প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। আর ‘সি’ শ্রেণির প্রকল্পকে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে ৬৪৬টি প্রকল্প ‘এ’ শ্রেণিতে, ৬৩৬টি প্রকল্প ‘বি’ শ্রেণিতে এবং ৮১টি প্রকল্প ‘সি’ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।
প্রকল্পের অগ্রাধিকার নির্ধারণের সময় বলা হয়েছিল, এতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এর বাইরে নানা ধরনের কৃচ্ছ্রসাধনে আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি সাশ্রয় হবে। সব মিলিয়ে এডিপির ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম