আইএমএফ থেকে তাৎক্ষণিক ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
আইএমএফ-এর নবগঠিত রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) অধীনে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ফান্ড থেকে এশিয়ার কোনো দেশ এই প্রথম অর্থ পাচ্ছে।
অন্যদিকে বর্ধিত ঋণ সুবিধা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সুবিধার (ইএফএফ) আওতায় পাচ্ছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ খাত থেকে শিগগির ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার ছাড় করবে আইএমএফ।
দুই খাত মিলিয়ে বাংলাদেশ সর্বমোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার পাবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৫০ হাজার ২৯০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। এর মধ্যে তাৎক্ষণিক ছাড় হবে প্রায় ৫ হাজার ৯৩ কোটি টাকা।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশ সময় গতকাল (সোমবার) রাত ৯টায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এ ঋণ অনুমোদন করে।
আইএমএফ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করা হয়েছে এসব তথ্য।
সংস্থাটি জানায়, মহামারি থেকে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে, যার ফলে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি রয়েছে, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় আইএমএফের ঋণ সহায়ক হবে। এই সর্বশেষ অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ স্বীকার করে যে, এই তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার পাশাপাশি, দীর্ঘস্থায়ী কাঠামোগত সমস্যা সমাধান জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত দুর্বলতাগুলোকেও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে, ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে হবে বলে মত দিয়েছে আইএমএফ।
আইএমএফ এর দেওয়া এই অর্থ যোগ হবে বাংলাদেশের রিজার্ভে।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম