বাংলাদেশ বিজনেস সামিট মার্চে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

আগামী মার্চে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই। এতে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা ।

এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী মার্চের ১১ থেকে ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনব্যাপী এ সামিট। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই সামিটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে এফবিসিসিআই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সামিটের উদ্বোধন করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ক্যাবল নিউজ নেটওয়ার্কের (সিএনএন) বিখ্যাত বিজনেস রিপোর্টার রিচার্ড কোয়েস্টের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন।

আরও পড়ুন: ২৯ শতাংশ কোম্পানির নেই টিআইএন, রিটার্ন দেয়নি ৮৫ শতাংশ

বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক, বাজার বিশ্লেষক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা এফবিসিসিআইর।

বাংলাদেশে উৎপাদিত সেরা পণ্যগুলোকে সামিটে উপস্থাপন করা হবে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হবে উদ্যোক্তাদের। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং করণীয় নির্ধারণে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশ্লেষক ও নীতিনির্ধারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি প্ল্যানারি সেশন, ১৩ টেকনিক্যাল সেশন, উন্মুক্ত আলোচনাসহ বিটুবি ও নেটওয়ার্কিং সেশন ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: বেড়েছে সবজির দাম, চাল-মুরগিও ঊর্ধ্বমুখী

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহযোগিতায় আয়োজিত এই সামিটের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন। সামিটের অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিষয়ে অনুষ্ঠানও প্রচার করবে সিএনএন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আরও পড়ুন: সিটি করপোরেশনের বাইরে ব্যাংকের সব শাখাই হবে ‘পল্লি শাখা’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আয়োজন এফবিসিসিআইর একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। মেগা এ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন যোগাযোগ ও উৎপাদনের হাব। বৈশ্বিক সংকটেও দেশের জিডিপির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার খাদ্য নিরাপত্তা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সৃজনশীলতায় জোর দিচ্ছে বলে জানান আবদুল মোমেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশকে এশিয়ার বিজনেস হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এফবিসিসিআইর বাংলাদেশ বিজনেস সামিট আয়োজনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণকারী দেশ সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, জাপান, ভারত, চীন, রাশিয়া ও আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম বাংলাদেশ।

 টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি এখন রপ্তানির্ভর শিল্পকারখানায় রূপান্তরিত হচ্ছে। ধীরে ধীরে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। সামিটে অংশ নিয়ে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে নিজেদের দেশে ব্র্যান্ডিং করতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, উন্নত ব্যবসা পরিবেশ ও প্রযুক্তির সহায়তায় সৃজনশীল অর্থনীতি তৈরিতে কাজ করছে বেসরকারি খাত। তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজেনেস সামিটে বিশ্ব ব্যবসায়ীদের কাছে দেশের ইতিবাচক অবস্থান, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, বিনিয়োগ প্রতিযোগিতাসহ অংশীদারিত্বের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হবে। এছাড়া অর্থনীতিতে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের এফবিসিসিআই বিজনেস পুরষ্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সামিটে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

বাংলাদেশে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, এফবিসিসিআইর সাবেক ও বর্তমান সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, পরিচালকরা ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

ইএআর/আরএডি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।