সূচকের বড় উত্থান, ৭০০ কোটি ছাড়ালো লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩

টানা দরপতন ও লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইতে) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে দুই মাস পর ৭০০ কোটি টাকা লেনদেনের দেখা মিললো।

মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি দুই বাজারেই যেকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বেড়েছে প্রায় তার দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠানের। অবশ্য এরপরও ডিএসই ও সিএসইতে দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি।

এদিন লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এরপরও লেনদেনের দ্বিতীয় মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুরো সময়ই অব্যাহত থাকে। তবে প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেনে দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় ছিল বেশি প্রতিষ্ঠান।

দুপুর ১২টার পর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকা বড় হতে থাকে। এতে সবকটি মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় উত্থান দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১১০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির। আর ১৯০টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫০৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২০৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। লেনদেন শুধু আগের কার্যদিবসের তুলনায় বাড়েনি, গত বছরের ১৪ নভেম্বরের পর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১৪ নভেম্বর ডিএসইতে ৭১৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এরপর ডিএসইতে আর ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।

ডিএসইতে টাকার অংকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৩ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৪২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বসুন্ধরা পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ইস্টার্ন হাউজিং, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট মেনুফ্যাকচারিং, নাভানা ফার্মা এবং আমরা নেটওয়ার্ক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৭৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩টির এবং ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এমএএস/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।