বাণিজ্যমেলা: ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্পের পণ্যে অনাগ্রহ ক্রেতাদের

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৩
বাণিজ্যমেলায় ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্পের একটি স্টল

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। দিন দিন ক্রেতাসমাগম বাড়ছে মেলায়। তবে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি বাড়লেও তেমন ভিড় নেই ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের পণ্যের প্যাভিলিয়নে। এতে করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। তাদের দাবি, গতবারের তুলনায় এবার তারা ক্রেতাদের কম সাড়া পাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তাদের বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্যাভিলিয়নে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়ে।

মেলা উপলক্ষে ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্যে নানা অফার দেওয়া হয়েছে। এতে করেও ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন এই প্যাভিলিয়নের ব্যবসায়ীরা। এখানে উদ্যাক্তাদের হাতের তৈরি জামদানি শাড়ি, গামছা, কাপড়-চোপড়, নকশিকাঁথা, জুয়েলারি সামগ্রী, মধু, আচার, পাপোশ, কারপেট, ঘর সাজসজ্জার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিভিন্ন ব্যাগ, নারীদের থ্রি-পিস রয়েছে। এসব পণ্যে ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> কোটি টাকার খাট কেনার চেয়ে দেখার লোক বেশি

মেলায় জামদানি শাড়ি কিনতে আসা মারিয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘জামদানি শাড়ির প্রতি আগ্রহ আমার অনেক আগে থেকেই। এই শাড়ি পরে যে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, তা অন্য শাড়িতে পাই না। তাই শাড়ি কিনতে এখানে চলে এলাম।

বাণিজ্যমেলা: ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্পের পণ্যে অনাগ্রহ ক্রেতাদের

এই প্যাভিলিয়নে একটি স্টল নিয়েছেন রিনা আক্তার নামের এক উদ্যােক্তা। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার স্টলটিতে হাতের তৈরি নানা রকমের নকশিকাঁথা এনেছি। কিন্তু ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাচ্ছি না। অন্যান্য স্টলে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় থাকলেও আমাদের প্যাভিলিয়নে তেমনটা নেই। তবে আমরা এখনো আশায় আছি, এবার কিছুটা হলেও বেচাকেনা ভালো হবে।’

আরও পড়ুন>> বাণিজ্যমেলায় কোট-ব্লেজারে অফারের ছড়াছড়ি, নেই ক্রেতার চাপ

প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মোস্তফা বিল্লাল বলেন, ‘এই প্যাভিলিয়নে ২১ জন উদ্যোক্তার ২১টি আলাদা স্টল রয়েছে। মেলার প্রথমদিন থেকেই এখানে ক্রেতার চাপ কম। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার আমাদের বেচাকেনা খুবই কম। তবে এখনো আশা করছি, বাকি দিনগুলোতে ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাবো।’

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে আসছে। এতদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও গত বছর থেকে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমেলা: ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্পের পণ্যে অনাগ্রহ ক্রেতাদের

গত বছরের আয়োজনের তূলনায় এবার মেলায় কিছু ভিন্নতা আনা হয়েছে। ওইবছর বাণিজ্যমেলায় শিশুপার্ক ছিল না। এবার মিনি শিশুপার্ক করা হয়েছে। ফুডকোর্ট স্থানান্তর করে নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবছর স্টলের সংখ্যাও বেড়েছে।

আরও পড়ুন>> ভোজন রসিকদের পছন্দের শীর্ষে মিঠাই

মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশের ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে এবারের আয়োজনে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

রাশেদুল ইসলাম রাজু/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।