সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ কিছু নেই: বিএসইসি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে। এই সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ডিএসই টাওয়ারের মাল্টিপারপাস হলে ট্রেক হোল্ডার ও প্রধান নির্বাহীদের অংশগ্রহণে ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকার’ সিকিউরিটিজের লেনদেন সম্পর্কিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, যে উদ্দেশে বন্ড মার্কেট চালু করা হয়েছে তা যেন বাস্তবায়ন করা যায়। সরকারের সব পক্ষের আন্তরিক চাওয়া থেকে পুঁজিবাজারের সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে। শুধু সরকারি সিকিউরিটিজ জোগানের কথা চিন্তা করলে হবে না, একই সঙ্গে চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে। যদি চাহিদা বাড়ে তবে সরকারি সিকিউরিটিজের একটি ভালো প্রাইস হবে।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো ফি নেই। এটি আরও বাড়ানো যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি বন্ডের ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা। এরই মধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এছাড়াও বন্ডকে জনপ্রিয় করার জন্য ক্যাম্পেইন করতে হবে। সরকারি বন্ডের নিলামের সময় সবার কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমি আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, এখানে ব্যাংকের যে প্রতিনিধিরা রয়েছেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- আপনারা বর্তমান পদ্ধতির মধ্যে দু-একটা ট্রেডিং করান। তাহলে আমরা আজকের আলোচনার কার্যকারিতা দেখতে পাবো। এছাড়াও এক্সচেঞ্জের প্ল্যাটফর্মে বন্ডের অকশনের বিষয়ে ডিএসই ও সিএসই যদি একটি প্রস্তাবনা বিএসইসিতে পাঠায়, বিএসইসি পরবর্তীতে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় এর ওপর কাজ করবে, আর আমরা দ্রুত একটি ফলাফল পাবো।
তিনি বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন সবাই আর্থিক খাতের লোক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ বছরে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আর এসময়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়েছে আর্থিক খাত সম্পর্কে। আমাদের এগুলোকে কাটিয়ে উঠতে হবে। পুঁজিবাজার ও বিমা খাত তুলনামূলকভাবে দুর্বল। আমাদের ব্যাংকিং খাতও দুর্বল নয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সমালোচনার মধ্যে পড়ে গেছে। এগুলো থেকে উত্তোলনের জন্য অনেক কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের মূল উন্নয়ন ১৯৯০ সালের পর থেকে শুরু হয়েছে। এ সময়ে আমরা প্রচুর আইন-কানুন করেছি। সে জায়গায় কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমান কমিশন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, গুড গর্ভনেন্স এবং ব্র্যান্ডিং বিষয়ে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী বর্তমান কমিশনের নেতৃত্বে পুঁজিবাজার সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক প্রমুখ।
এমএএস/এমকেআর/এএসএম