টিসিবির পণ্যের পরিমাণ বাড়ছে না, চলবে নিয়মিত: বাণিজ্যমন্ত্রী
আপাতত জনপ্রতি টিসিবির পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, প্রতি মাসে একবার করে সারাদেশের এক কোটি পরিবারকে ডাল, তেল ও চিনি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৮ নং ওয়ার্ডে ২০২৩ সালের টিসিবির পণ্য বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেছেন, গত এক বছরে এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য বিতরণে প্রায় ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরকারের ভর্তুকি দিতে হয়েছে। ৪২০ টাকা প্যাকেজের পণ্য দেওয়া হয়। চাইলেই পণ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে। আপাতত পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে না।
আরও পড়ুন>> বছরের শুরুতে দাম বেড়েছে আলু-রসুন-আদার, কমেছে আটা-ময়দার
মন্ত্রী বলেন, কিছু পরিবারে দুই থেকে তিনটি ফ্যামিলি কার্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কার্ড ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। সেটি হলে আর এক পরিবারে একাধিক কার্ড থাকবে না। আপাতত প্রতি মাসে একবার টিসিবির তেল, চিনি ও ডাল তুলে দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম আপাতত নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। গরিব মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেটি বিবেচনা করে এই কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন দেখা গেছে, টিসিবি থেকে দুই লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি মিলিয়ে প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য ৪২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> আজ থেকে ভতুর্কি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
এসব পণ্যের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষকে আগারগাঁওয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে দেখা যায়। চলতি বছরের পণ্য বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রীর উপস্থিত হতে দেরি হওয়ায় লাইনে তাদের দীর্ঘসময় সময় অপেক্ষা করতে হয়। এসময় লাইনে দাঁড়ানো ৮০ বছরের বেশি বয়সী কয়েকজন বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ছোট শিশু কোলে নিয়েও অনেক নারীকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন>> পেঁয়াজের পর এবার বেনাপোলে টিসিবির মসুর ডাল
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী পণ্য বিতরণের উদ্বোধন করার পর লাইনে অপেক্ষারত কার্ডধারীদের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান।
এমএইচএম/ইএ/জেআইএম