ফিলিপ কটলারের বইয়ে কেস স্টাডিতে ‘নগদ’

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক হিসেবে খ্যাত প্রফেসর ফিলিপ কটলারের বই ‘এশেন্সিয়ালস অব মর্ডার্ন মার্কেটিং’ বইয়ের বাংলাদেশ সংস্করণে কেস স্টাডি হিসেবে জায়গা পেয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। পাশাপাশি ফিলিপ কটলারের বইটিতে কেস কো-অথর বা সহ-লেখক হিসেবে কাজ করেছেন নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

সম্প্রতি ফিলিপ কটলারের প্রতিষ্ঠান কটলার ইমপ্যাক্ট ও ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট গ্রুপের স্ট্রাটেজিক পার্টনার (বাংলাদেশ) নর্দার্ন এডুকেশন গ্রুপ এ তথ্য জানায়। প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যেই মর্ডান মার্কেটিংয়ের ওপর রচিত বইটিকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো দেশে শিক্ষার্থী ও করপোরেটদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।

মার্কিন প্রফেসর ফিলিপ কটলার ও তার সহযোগীদের সমন্বয়ে নতুন মাত্রায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ‘এশেন্সিয়ালস অব মর্ডার্ন মার্কেটিং’ বইটি। যেখানে বিশ্বব্যাপী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর একাডেমিক কেস স্ট্যাডি সংযোজিত হবে। বাংলাদেশ থেকে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ, আইসিটি ডিভিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়, গ্রামীণফোনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ বইতে তাদের কেসগুলো সংযোজন করার সুযোগ পেয়েছে।

বিপণন বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কটলারের ‘মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট’ হলো বর্তমান বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত একটি বই। এছাড়া কটলারের ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিটও বর্তমান বিশ্বে মার্কেটিং সম্পর্কিত সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। যেখানে এ বছরও বাংলাদেশের ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী এ ইভেন্টে অংশ নিয়েছে।

বিপণন বিশেষজ্ঞ ফিলিপ কটলারের ‘এশেন্সিয়ালস অব মর্ডার্ন মার্কেটিং’ বইটিতে আপ-টু-ডেট ও ইনসাইটফুল মার্কেটিং ইস্যুগুলো উঠে এসেছে। এছাড়া বইটিতে পণ্য বিপণনের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে কীভাবে বিভিন্ন টুল বা কৌশল ব্যবহার করা যায়, যা ভবিষ্যতে মার্কেটিংকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হবে। এ বইটি মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যবস্থাপক, প্রফেসর ও শিক্ষার্থীদের বেশি কাজে আসবে।

‘এশেন্সিয়ালস অব মর্ডার্ন মার্কেটিং’ বাংলাদেশ সংস্করণে নগদ মূলত জায়গা করে নেয় প্রতিষ্ঠানটির ইনোভেটিভ মার্কেটিংসহ সময়োপযোগী সব উদ্ভাবনের ফলে। এরই উদাহরণস্বরূপ গত বছর দেশের ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার কমওয়ার্ড-এক্সিলেন্স ইন ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে নগদ।

এছাড়া বাংলাদেশে প্রথম ই-কেওয়াইসি উদ্ভাবনের জন্য নগদ অর্জন করেছে বেস্ট ইনোভেশন ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, বিশ্ব সেরা ফিনটেক উদ্যোগ হিসেবে ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাওয়ার্ড, উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি ম্যান অব ইয়ার, মাস্টারকার্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড, ই-কমার্স মুভার অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট মার্কেটিং কমিউনিকেশন অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকের লিডারশিপের ফলে মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশে ও বহির্বিশ্বে এ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তানভীর এ মিশুকের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও নগদ-এর সময়োপযোগী ইনোভেশনের ফলে প্রতিদিন আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে লাখো মানুষ। নগদ-এর এ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে দেশের অর্থিনীতিতে। নগদ-এ আজ সাত কোটিরও বেশি গ্রাহক তারই প্রমাণ।

অর্থিনীতিতে এ আমূল পরিবর্তনের ফলে নগদ ও তানভীর এ মিশুককে স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল ব্র্যান্ডস ম্যাগাজিন। প্রতিষ্ঠানটি নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুককে ২০২২ সালের ফিনটেক পারসোনালিটি অব দ্য ইয়ার হিসেবে ঘোষণা করে। পাশাপাশি সেরা উদ্ভাবনী ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্র্যান্ড হিসেবে পুরস্কৃত করে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ-কে।

আধুনিক মার্কেটিংয়ের জনক ফিলিপ কটলারের বইয়ে নগদ-এর স্থান পাওয়ার বিষয়ে নগদ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, এমন একটি অর্জন আমাদের জন্য অনেক বেশি গর্বের ও অনুপ্রেরণার। মাত্র সাড়ে তিন বছরে নগদ দেশের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটিরই স্বীকৃতি মার্কেটিংয়ের গুরু ফিলিপ কটলারের বইয়ে নগদ-এর স্থান করে নেওয়া। এত বড় একজন মানুষের সঙ্গে কেস স্ট্যাডি নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি নিজেও অনেক বেশি ঋদ্ধ হয়েছি ও আনন্দিত বোধ করছি।

এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।