তিন ব্যাংকে ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়ম অনুসন্ধানে দুদক
ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের ঘটনা অনুসন্ধানের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, ইসলামী শরিয়াভিত্তিক তিনটি ব্যাংকের ঋণের অনিয়মের বিষয়ে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার পর এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে দুদকের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলমান।
গত ১ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংকে ঋণ অনিয়মের ঘটনা নিয়ে তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে দুদক ও বিএফআইইউর কাছে তদন্ত চেয়ে চিঠি দেন পাঁচ আইনজীবী।
ওইদিন সাংবাদিকদের দুদক সচিব জানান, চিঠি এখনো তার হাতে পৌঁছায়নি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি পাওয়ার পরে যাতে অনুসন্ধান শুরু করা যায় সেই লক্ষ্যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ব্যাংকগুলোতে ঋণ অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে সাত হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সোশ্যাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয়। যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এসব ঋণ বের করা হয়, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছে। যেগুলো মূলত নামসর্বস্ব কোম্পানি। এ রকম নামসর্বস্ব দুই কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয় দুই হাজার কোটি টাকা।
এদিকে, ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় রিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসএম/এএএইচ/জিকেএস