বাজার মূলধন কমলো ৪ হাজার কোটি টাকা, অর্ধেকে নামলো লেনদেন
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে, পতনের তালিকায় রয়েছে প্রায় তার দ্বিগুণ প্রতিষ্ঠান। ফলে এক সপ্তাহেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ৪ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা।
এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির। আর ২৬৫টির দাম অপরিবর্তিত।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮৭ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৯ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৩৬ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৭ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ২০ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৬ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬০৪ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি ১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৫ হাজার ৮২২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে মোট লেনদেন কমেছে ২ হাজার ৮০২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা ৪৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৩১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩৫ কোটি ৭৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ১৫৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইস্টার্ন হাউজিং, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, আমরা নেটওয়ার্ক, বেক্সিমকো এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।
এমএএস/জেএইচ/জেআইএম