সোয়াপে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলো স্টার্টআপ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২২

আইসিটি বিভাগের ফ্লাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের প্রথম রি-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সোয়াপে বিনিয়োগ করছে। ই-বর্জ্য কমিয়ে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পণ্য বিক্রির সময় গ্রাহকের সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে সোয়াপ।

প্রিসিরিজ-এ রাউন্ডে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য সম্প্রতি ঢাকায় আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া প্রকল্পের কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠান দুটোর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আইসিটি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, হেড অব পোর্টফোলিও ইনভেস্টমেন্ট হাসান এ. আরিফ, সোয়াপের সিইও পারভেজ হোসেন, সিওও তন্ময় সাহা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

২০২০ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে সোয়াপ গ্রস মার্চেন্ডাইজ ভ্যালুতে (জিএমভি) ৪৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি জেনারেট করেছে, যার বর্তমান মাসিক জিএমভি ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি। সোয়াপ এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি গ্রাহকের সেবা দিয়েছে এবং ৩ হাজার ৬৫০ টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৩৮৬ টন ই-বর্জ্য কমিয়েছে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, রি-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে সোয়াপ যে কাজ করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের বিনিয়োগ সোয়াপকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে শীর্ষস্থানীয় হতে সাহায্য করবে। আমি আশা করি তারা স্টার্টআপ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ বলেন, স্টার্টআপ বাংলাদেশের লক্ষ্য দেশীয় স্টার্টআপদের এমন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়তা করা যেন আরও বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করে। স্থানীয় স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সোয়াপের মতো সম্ভাব্য উদ্যোগগুলোর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। সঠিক কৌশল প্রয়োগ এবং ফোকাস ঠিক রেখে কাজ করতে পারলে আমাদের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সোয়াপ সফল স্টার্টআপ হিসেবে উদাহরণ তৈরি করতে সক্ষম হবে।

সোয়াপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা পারভেজ হোসেন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে সোয়াপ এমন একটি সমাধান দেবে যা বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপকভাবে প্রয়োজন। ব্যবহৃত পণ্যের জন্য একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করে আমরা নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের পরিবারগুলোকে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রযুক্তিতে অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করছি। এর মাধ্যমে তাদের সার্কুলার ইকোনমিকে উৎসাহিত করছি৷ ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং হালকা যানবাহনের পুনঃব্যবহার ও জীবনকাল বৃদ্ধি করে আমরা এই জাতীয় পণ্য আমদানির চাপ কমাতে পারি। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে।

এসএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।