সূচকের সামান্য উত্থান, কমেছে লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে দুই বাজারেই দাম বাড়ার থেকে দাম কামার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য গত কয়েকদিনের মতো দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের আঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২২ পয়েন্ট। আর লেনদেনের এক ঘণ্টার মাথায় সূচকটি ৩১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এরপর থেকেই বদলে যেতে থাকে চিত্র। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। ফলে কমতে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এমনকি লেনদেনের এক পর্যায়ে ১২টা ২০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ কয়েক মিনিটের লেনদেনে বড় মূলধনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় প্রধান মূল্যসূচক বেড়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৬ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮০টির। আর ২২৭টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২২০ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৮২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৭২ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট এলায়েন্স পোর্ট, বসুন্ধরা পেপার, ইস্টার্ন হাউজিং, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, আমরা টেকনোলজি, সোনালী পেপার এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৬টির এবং ১০৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এমএএস/ইএ/জেআইএম