জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী। জানুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন শাকসবজিসহ সকল জিনিসের দাম কম। ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আশা করছি আগামী মাসে আরও মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
এসএ/একে/এবিএস