জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমেছে


প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিম্নমুখী। জানুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১০ শতাংশ।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী এ তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন শাকসবজিসহ সকল জিনিসের দাম কম। ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়েনি। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আশা করছি আগামী মাসে আরও মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। খাদ্য পণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যেও মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশে, যা তার আগে মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

এসএ/একে/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।