বাংলাদেশের ‘প্লাস্টিক পণ্য’ নিতে চায় নেদারল্যান্ড
নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিক পণ্য নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার তার কার্যালয়ে ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলিনেয়ার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চিংড়ি, তামাক, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্য এবং ওষুধের প্রচুর চাহিদা রয়েছে নেদারল্যান্ডে। বাংলাদেশের এ সকল পণ্য বেশি করে আমদানি করতে নেদারল্যান্ড আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে অভূতপূর্ব উন্নতির প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ক্রেতাগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্থদের যে ক্ষতি পূরণ দিয়েছে, তার মধ্যে নেদারল্যান্ড অন্যতম বলেও জানান তিনি।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, এ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার এবং শিল্প মালিকরা কারখানার কাজের পরিবেশ উন্নয়ন, ফায়ার সেফটি, বিল্ডিং সেফটি এবং কর্মবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন নেদারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত।
মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। গত বছর বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডে ৮৪০ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১৪১ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রফতানি বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে ৬৯৮ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের পরিক্ষীত ব্যবসায়িক অংশীদার। ব্যবসার পাশাপাশি নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন কাজের সহযোগী। বাংলাদেশের ভোলায় নদী ভাঙন রোধে পাঁচশত কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ফেজের কাজ শেষ হয়েছে।
এসময় নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তমত তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়ন, পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, কৃষি পণ্যের নিরাপদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা এবং রফতানিতে সহযোগিতা করছে নেদারল্যান্ড।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মনোজ কুমার রায় এবং অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) জহির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/এসকেডি/এবিএস