চলতি মেয়াদেই রূপকল্প ২০৪০ প্রণয়ন


প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অচিরে বাংলাদেশকে বিশ্বে অগ্রগামী ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকারের চলতি মেয়াদেই রূপকল্প ২০৪০ প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জ-১ আসনের মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’-এর আলোকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে জাতির সামনে রূপকল্প-২০৪০ উপস্থাপন করবে।

‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়ন রূপান্তরের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনের বাংলাদেশকে বিশ্বে অগ্রগামী ও উন্নত জনপদে পরিণত করতে আমরা জাতিকে আমাদের এই মেয়াদের মধ্যেই রূপকল্প-২০৪০ উপহার দেব।

তিনি বলেন, গত ২০ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪০ প্রণয়নের নির্দেশনা দেয়া হয়। সে আলোকে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জনগণের  কল্যাণে অর্থনীতিতে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে বিগত মেয়াদে ‘রূপকল্প-২০১১’ কে সামনে রেখে বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) প্রণয়ন করেছিল। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য কতিপয় বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
 
তিনি বলেন, দেশের মানুষ, ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ আন্তজাতিক প্রেক্ষপটসহ আর্থিক শিক্ষায় শিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নে সরকার আরেকটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪০ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠান প্রধানপদে নারীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

সংরক্ষিত-৩২ আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমানের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পণা মন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, গত এক দশকে সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান নারীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
মন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নারীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালের হিসেবে মোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নারী প্রধান প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা- ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। যা ২০০১ ও ২০০৩ সালে ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৮৫৮টি। অর্থাৎ গত দশকে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নারীদের সংখ্যা পাঁচগুণ বেশি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সামগ্রিক কর্মসংস্থানে নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করে বলেন, ২০০১ ও ২০০৩ সালে মোট নারীকর্মীর সংখ্যা যেখানে ছিল মাত্র ১২ লাখ ২৯ হাজার ৪১৩ জন।  সেখানে ২০১৩ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৭১৮জন। সুতরাং গত দশকে নারীকর্মীর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেশি হয়েছে।

অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) আওতায় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দেশের ৩য় অথনৈতিক শুমারি সম্পন্ন করে। ইতোমধ্যে শুমারি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন  করার পর গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, গত দশকে কর্মসংস্থান দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৩ সালে মোট ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৫০ জন জনবল বিভিন্ন অকৃষিমূলক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন যার সংখ্যা ২০০১ ও ২০০৩ সালে ছিল ১ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ৪২২ জন। অর্থাৎ গত এক দশকে কর্মসংস্থান ১১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা একটি অভূতপূর্ব সাফল্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এইচএস/এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।