৮৭২৩০ গ্রামের উন্নয়নে রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৮৭ হাজার ২৩০টি গ্রামের উন্নয়নের জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব করেন তিনি।
বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ এর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পল্লী অঞ্চলে উন্নত রাস্তাঘাট ও আধুনিক নগর সুবিধাদির জন্য ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর আওতায় কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, যথা গ্রামীণ সড়ক, গ্রোথ সেন্টার এবং হাটবাজার, গ্রামীণ পানি সরবরাহ, গ্রামীণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, উপজেলা মাস্টার প্ল্যান, কমিউনিটি স্পেস, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, কম্পিউটার ভিলেজ নির্মাণ ইত্যাদির জন্য মোট ৩০টি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হবে।
এছাড়া ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ৩৬টি ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হবে। এ কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫টি পাইলট গ্রামের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা এবং সর্বোপরি ‘রূপকল্প-২০৪১’ ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপের মাধ্যমে ৮৭,২৩০টি গ্রামের উন্নয়নের জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।
এছাড়া, কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের সুপারিশ অনুযায়ী ভবিষ্যতে বড় আকারের বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।
অনুদান বাদে এই বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।
এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমওএস/এমআরএম/জিকেএস