ক্রেতা সংকটে ৪১ প্রতিষ্ঠান, বাড়লো সূচক-লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ৩০ মে ২০২২

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক বাড়লেও ক্রেতা সংকটে পড়েছে অর্ধশত প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বিনিয়োগকারীরা দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির প্রস্তাব দিলেও অধিকাংশ সময় ক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।

অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

অবশ্য লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। এতে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকায় ১০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ২৫ পয়েন্ট।

এরপর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। লেনদেনের আধাঘণ্টার মধ্যে দাম কমার সর্বোচ্চ সীমায় চলে যায় প্রায় এক ডজন প্রতিষ্ঠান। সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে এ তালিকা। এতে দিনের লেনদেন শেষে ৪১ প্রতিষ্ঠান দিনের সর্বনিম্ন দামে চলে যায়। এরপরও প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয়াদেশের ঘর শূন্য পড়ে ছিল। অর্থাৎ বিক্রেতা থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ছিল না।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৮৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৯টির। ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৮৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৫ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, জিএসপি ফাইন্যান্স, জিনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ এবং আইএফআইসি ব্যাংক।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৯৮ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির এবং ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এমএএস/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।