ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে : বিবি


প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৪

গত পাঁচ বছরে ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ব্যাংকগুলোর মুনাফার একটা বড়ো অংশ মূলধনে স্থানান্তর হবার কারণে এটি ঘটেছে। ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ভিত্তি আরো শক্তিশালী হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে ব্যাসেল-১ অনুযায়ী ঝুঁকিভিত্তিক মূলধন সংরক্ষণ করতে হতো। এ নীতিমালা মোতাবেক ২০০৮ শেষে ব্যাংকগুলো কর্তৃক সংরক্ষিত মোট মূলধনের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। পক্ষান্তরে, ঝুঁকি সংবেদনশীল ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলোর রক্ষিতব্য মূলধনের পরিমাণ যেমন বেড়েছে তেমনিভাবে গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে (সেপ্টেম্বর ২০১৪) ব্যাংকগুলোর সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ উক্ত সময়ে ব্যাংকিং খাতে মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৪ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা। মূলধনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ২১৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোর আর্থিক সুস্থতা এবং স্থিতিশীলতার অন্যতম পরিমাপক হচ্ছে মূলধন পর্যাপ্ততা। ফলে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ভিত্তি শক্তিশালীকরণের প্রয়াসে আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম রীতি-পদ্ধতির অনুসরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক মূলধন পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত ব্যাসেল-২ নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করার জন্যেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখাপাত্র এএফএম আসাদুজ্জামান জাগোনিউজকে সোমবার বিকেলে বলেন, ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলোকে তাদের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ৮ শতাংশ হারে মূলধনের সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর জন্যে এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব (সেপ্টেম্বর ২০১৪) মোতাবেক ব্যাংকগুলো এর চেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের বিশেষ সেবা প্রদানকারী বিশেষায়িত ব্যাংককে (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) হিসাবের বাইরে রাখলে মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়াবে প্রায় ১২ শতাংশ।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।