বাজারে এলো ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি-পিস, দাম ৭০০ টাকা

সাইফুল ইসলাম রাজ
সাইফুল ইসলাম রাজ সাইফুল ইসলাম রাজ , সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০১:৩৪ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২
নারীদের নজর কেড়েছে বাজারে নতুন আসা ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি পিস, রাজধানীর ভাটারা থানার খিলবাড়ীরটেক মেইন রোডের পাশ থেকে তোলা ছবি

স্বরচিত ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান ভারতের বীরভূমের বাদামবিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানটি। শিশু থেকে বৃদ্ধ দুই বাংলার মানুষের মুখে মুখে ‘কাঁচা বাদাম’ গান।

তবে ‘কাঁচা বাদাম’ শব্দদ্বয় এখন আর মুখে সীমাবদ্ধ নেই। জায়গা করে নিয়েছে নারীদের পোশাকেও। এখন প্রায় সব দোকানেই বিক্রি হচ্ছে এই নামের থ্রি পিস। সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে এরচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি পিস। বেচাবিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ভাটারা থানার খিলবাড়ীরটেক মেইন রোডের (মধ্যপাড়া) পাশে দুটি দোকানে কাঁচা বাদাম থ্রি পিস বিক্রি করতে দেখা যায়।

ফারজানা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. জাফর উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাসখানেক হলো তিনি দোকানে কাঁচা বাদাম থ্রি পিস তুলেছেন। বিক্রিও মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। ৭০০ টাকা করে তিনি এ থ্রি পিস বিক্রি করছেন।’

মেসার্স বরিশাল বস্ত্রালয়ের মনির হোসেন জানান, তার দোকানে কয়েক ধরনের কাঁচা বাদাম থ্রি পিস রয়েছে। এরমধ্যে কালো রঙের থ্রি পিসের চাহিদা বেশি।

কাঁচা বাদাম থ্রি পিস বিক্রি বেশির কারণ কী এমন প্রশ্নে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাঁচা বাদাম গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মানুষ বিষয়টি আগে থেকেই জানে। এছাড়া এ থ্রি পিসের কাপড়ও ভালো এবং কালারও চমৎকার। সবমিলিয়ে কাঁচা বাদাম থ্রি পিসের চাহিদা রয়েছে।’

মাগুরার শালিখা উপজেলার বাসিন্দা ইতি আক্তার। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, “সম্প্রতি আমার এক আত্মীয় ‘কাঁচা বাদাম’ থ্রি পিস উপহার দিয়েছেন। রঙ আকর্ষণীয়, কাপড়টাও দারণ। থ্রি পিসটা আমার পছন্দ হয়েছে।”

ভাইরাল ‘কাঁচা বাদাম গান’-এর স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরের বাড়ি ভারতের বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুরি গ্রামে। গানটির সুবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন পরিচিত মুখ ভুবন বাদ্যকর। বাদাম বিক্রি ছেড়ে এখন গান নিয়েই দিন কাটছে এ ভারতের এ নাগরিকের।

এসআর/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।