সিলেটে বর্ণাঢ্য মেলা আয়োজনে এমএফএস-এর ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ পিএম, ০৮ মার্চ ২০২২
এমএফএস-এর ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির চিত্র বদলে দেওয়া মোবাইল আর্থিক সেবা খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপনে সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো ‘এমএফএস মেলা’। এমএফএস নিয়ে সচেতনতামূলক পুতুলনাচ, গম্ভীরা, পথনাটক নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পার্কে বেলুন উড়িয়ে এই বর্নাঢ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়। ১১ কোটির বেশি গ্রাহকের এমএফএস খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে ‘হাতের মুঠোয় আর্থিক সেবা’ স্লোগানে।

এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণে এই মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হক। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের মহাব্যবস্থাপক (পরিদর্শন) একেএম এহসান, মহাব্যবস্থাপক রূপ রতন পাইন, বিকাশের চিফ কমিউনিকেশন্স অফিসার মাহফুজ সাদিক, চিফ কাস্টমার সার্ভিস অফিসার নিশাত রহমান এবং বিকাশ ও বিভিন্ন এমএফএস প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

১০ বছর পূর্তি আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়, ট্যাপ, মাই ক্যাশ, টেলিক্যাশ, ট্যাপ এন পে, এফএসআইবিএল, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, ওকে ওয়ালেট, ইসলামিক ওয়ালেট ও নগদ। এ খাতের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে বিভাগীয় শহরগুলোতে এমএফএস মেলা ও ঢাকায় সেমিনারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক দশক আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক ইচ্ছায় প্রশস্ত হয় বাংলাদেশের মোবাইল আর্থিক সেবার পথচলা। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হিসেবে ব্যাংকিং সেবার বাইরে বা সীমিত ব্যাংকিং সেবার আওতায় থাকা জনগণকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১১ সালে শুরু হয় মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবিড় তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে মাত্র ১০ বছরেই এমএফএস এখন দেশের মানুষের প্রতিদিনের আর্থিক লেনদেনের অংশ। শুধুমাত্র দেশে নয়, সারাবিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে বাংলাদেশের এমএফএস খাত।

ব্যাংক-লেড মডেলে যাত্রা শুরু করা এ খাতে বর্তমানে ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে। সবগুলো এমএফএস মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এজেন্ট সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। গড়ে দৈনিক এক কোটি বারের ওপরে লেনদেন হয় এমএফএসে, টাকার অংকে যার পরিমাণ দুই হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর জন্য ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউটের সুযোগ নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল সেবা যুক্ত করেছে এমএফএস। মোবাইল রিচার্জ করা, বিদেশ থেকে সরাসরি রেমিট্যান্স পাওয়া, মোবাইল অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের ওপর মুনাফা, বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি সেবার বিল পেমেন্ট, ব্যাংক থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা আনা, এমএফএস অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, সরকারের বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণ, তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের বেতন বিতরণ, এমএফএস অ্যাকাউন্টে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ন্যানো ঋণ এবং মাসিক সঞ্চয় সেবাসহ প্রতিনিয়তই নতুন সেবায় সমৃদ্ধ হচ্ছে এমএফএস খাত। ফলে সক্ষমতা ও স্বাধীনতা এসেছে মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেনে।

ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।