জাহাজ নির্মাণ শিল্পের ঋণ পরিশোধের সুবিধা পরিপালনের নির্দেশ
করোনা মহামারির কারণে জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে বিশেষ ছাড় দিয়েছে সরকার। এর ফলে জাহাজ নির্মাণ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০২১ সালের বকেয়া ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে আরও দুই বছর মরেটরিয়াম সুবিধা নিতে পারবে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ। এর আগে জানুয়ারিতেও একই নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১৮ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সহজ শর্তে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের বকেয়া ঋণ পরিশোধে ১০ বছর সময় দেওয়া হয়। তাতে প্রথম তিন বছর মরেটরিয়াম সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়। এখন এ মরেটরিয়াম সুবিধা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়- এর ১০ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ (কপি সংযুক্ত)-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক পত্রে বর্ণিত নির্দেশনা যথাযথভাবে এর ১৮ (ছ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।’
এর আগে গত ২০১৮ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, নিয়মিতভাবে জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানিতে নিয়োজিত শিপইয়ার্ডগুলোকে তারল্য সংকট মোকাবিলায় আবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রদত্ত সব ধরনের মূলধনী ঋণের সুদাসল ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরভিত্তিক হিসাবায়ন করে কোনো ডাউনপেমেন্ট ছাড়াই তিন বছরের মরেটরিয়াম সময় মঞ্জুর করা হবে। ১০ বছরে ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ওই ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে পৃথক ব্লক অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি করা যাবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগে যেসব ঋণ দিয়েছে, সেগুলোর সুদবাহী পুনঃতফশিলকৃত দায়গুলোও ওই সুবিধার আওতায় পরিশোধযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে।
ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস