মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের বক্তারা বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা ছিল সেন্ড মানিতে অর্থ আদায় করা যাবে না। এমন নির্দেশনার পরও গ্রাহকদের থেকে সেন্ড মানিতে টাকা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, ‘সেন্ড মানিতে অর্থ আদায় করা যাবে না’ এ শর্ত বর্তমানে উঠিয়ে নিলে প্রথম লেনদেনে ৫ টাকা আদায় করা হয় ও পরবর্তীতে ১০ টাকা কাটা হচ্ছে। একজন গ্রাহক যদি ১ হাজার টাকা সেন্ড করেন তাহলে তার থেকে কাটা হচ্ছে ১০ টাকা। আবার ওই টাকা উত্তোলন করার সময় কাটা হয় ২০ টাকা। এতে ১০০০ টাকায় খরচ হয় ৩০ টাকা। অথচ একটি মেসেজ পাঠাতে খরচ হয় ৯ পয়সা।
অ্যাপের মাধ্যমে নিজস্ব চ্যানেল ব্যবহার করলে তাদের খরচ হয় না জানিয়ে বক্তারা বলেন, ডিস্ট্রিবিউটর, রিটেইলার, মার্কেটিংসহ কোনো প্রকার খরচ না থাকা সত্ত্বেও এ অ্যাপের চার্জ অতিরিক্ত। আবার অ্যাপে ক্যাশব্যাক দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হলেও ক্যাশব্যাকের অর্থ তাদের নির্দিষ্ট সেবাখাতে ব্যয় না করলে এ ক্যাশব্যাক অফার কোনো উপকারে আসে না গ্রাহকের।
বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চার্জ কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছি। সরকারি অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বাজার প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে সার্ভিস চার্জ কমিয়ে আনলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান সার্ভিস চার্জ কমায়। তবে তাদের শর্তের বেড়াজালে গ্রাহকরা কম চার্জের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মূল শর্ত হচ্ছে সেবা হবে মোবাইলিটি বা ভ্রাম্যমাণ। গ্রাহক তার সুবিধামতো এ সেবা গ্রহণ করবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট জায়গা থেকে অর্থ উত্তোলনের সার্ভিস চার্জ কমানোর সুবিধা দেওয়া এক ধরনের প্রতারণা বলে আমরা মনে করি। তাই এ শর্তের বেড়াজাল প্রত্যাহার করে সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে যৌক্তিক পর্যায়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনটি জানায়, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ক্যাশলেস বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া। সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে এ সেবাখাতে সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে হয়রানি ও গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। এসময় বক্তব্য দেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আলতাফ হোসেন, সংগঠনের সদস্য মো. শাহজাহান আলী, শেখ ফরিদ, দপ্তর সম্পাদক পুরোটা জামিলসহ প্রমুখ।
এএএম/এমআইএইচ/এমআরএম/এএসএম