প্রাক-বাজেট আলোচনায় যেসব দাবি জানালো অ্যাটকো-নোয়াব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

করোনাকালে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনের বাজার বাড়লেও পত্রিকা ও টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের বাজার আশঙ্কাজনক হারে সংকুচিত হয়েছে। এ অবস্থায় সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজের ওপর প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ শুল্ক-কর প্রত্যাহার চেয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

এছাড়া বর্তমান অবস্থায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনার অংশবিশেষও চেয়েছেন সংবাদপত্রের মালিকরা।

অন্যদিকে সেটটপ বক্স আমদানিতে কর রেয়াত চেয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় দুই সংগঠনের নেতারা এসব দাবি করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে নোয়াবের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ। অন্যদিকে অ্যাটকোর পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

নোয়াব সভাপতি বলেন, বিশ্বে প্রিন্ট মিডিয়ার অবস্থা ভালো নয়, বাংলাদেশেও একই অবস্থা। সংবাদপত্রের উৎপাদন খরচ বিক্রি মূল্যের কয়েকগুণ। বিজ্ঞাপন আয় দিয়ে উৎপাদন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ হয় কোনো ভাবে।

তিনি বলেন, কোভিডের আগে ২০ শতাংশ হারে সংবাদপত্রের বাজার সংকুচিত হলেও কোভিড পরবর্তী সময়ে তা সংকুচিত হয়েছে ৫৫ শতাংশ। কোভিডের আগে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের বাজট ছিল ২০ শতাংশ এখন তা ১৫ শতাংশে নেমেছে। ডিজিটালে কোভিডের আগে ছিল ১০ শতাংশ সেটা ৩০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে ৭০ শতাংশ ছিল বিজ্ঞাপন সেটা কমে ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় নোয়াবের পক্ষ থেকে পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে- সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ১০%-১৫% করা, যা বর্তমানে ৩০%। কাগজের ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার করা। সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনে আয়ের ওপর টিডিএস ৪% থেকে ২ % করা। সংবাদকর্মীর আয়কর থেকে প্রতিষ্ঠানের দায়মুক্তি।

অন্যদিকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এজেন্সির মাধ্যমে টিভি চ্যানেলে কত টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন সেটা আমরা জানতে পারছি না। তবে বিলের ওপর ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকেই ভ্যাট, ট্যাক্স কেটে নেওয়ার দাবি করছি।

এতদিন বিদেশের চ্যানেলে কীভাবে বিজ্ঞাপন গেছে সেটা ট্র্যাকিং করা, আর যাতে বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন না যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচার প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সেটটপ বক্স লাগবে। সেগুলো আমদানি করতে হবে। আমরা অনুরোধ করবো, একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ বক্স আমদানিতে কিছু রেয়াত দিতে পারেন, তাহলে গ্রাহক ও এনবিআর দুদিকে লাভবান হবে।

প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আপনাদের প্রস্তাব পর্যালোচনা করবো।

সংবাদকর্মীর আয়কর মেটানো, বাড়িভাড়া করমুক্ত করার বিষয়টি ওয়েজবোর্ড সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সেটি এনবিআরের নয় ওয়েজবোর্ড বা তথ্য মন্ত্রণালয়ে সমাধান হওয়া উচিত বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

এসএম/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।