বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন ভেন্যুতে এবারের বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সার্বিক অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও দেশের বাণিজ্য এবং অর্থনীতি সচল রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের অধীনে থেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে। একসময় বিদ্যুতের অভাবে দেশে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আজ বাংলাদেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন। অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নতুন ক্যাম্পাসে এবারের বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিবেশে এবারের বাণিজ্যমেলা শেষ হলো। দেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ বছর ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আগামী ২০২৪ সালে দেশের রপ্তানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না। আমাদের প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে। তখন পিটিএ অথবা এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চলতি বছর আমরা চারটি দেশের সঙ্গে এরকম বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য কাজ করছি।
মেলায় প্রায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে এবং প্রায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
মেলায় বিশেষ অবদান রাখায় ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২ অংশগ্রহণকারী, বিভিন্ন দপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা এবং ২৭ সংস্থাকে পদকে ভূষিত করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এমন আহসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
আইএইচআর/এমআরআর/এমএস