প্রথম দিনেই হতাশ ক্রেতা-দর্শনার্থী
রাজধানীর পূর্বাচলে শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর। শনিবার (১ জানুয়ারি) ছিল মেলার প্রথম দিন। এদিন পরিবারসহ রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মেলায় এসেছেন একরামুল হক। মেলায় প্রবেশ করে হতাশ তারা।
কারণ ভেতরে তখনও মেলার প্রস্তুতির কাজ চলছিল। কোনো স্টল বা প্যাভেলিয়ান বিক্রি বা প্রদর্শনের জন্য তখনও পুরোপুরি তৈরি নয়।
আক্ষেপ করে জাগো নিউজকে একরামুল বলেন, ছোট্ট মেয়েটা সঙ্গে আছে। কিছু কিনে দিতে বা দেখাতে পারলাম না। অধিকাংশ স্টলেই প্রস্তুতির কাজ চলছে। অনেকগুলো ফাঁকা, কোনো পণ্য নেই। কিছু স্টলে আবার পণ্য থাকলেও বিক্রি শুরু করেনি এখনও। অনেক কষ্ট করে আসলাম। বাচ্চাটার মন খারাপ।মেলায় কোনো স্টল বা প্যাভেলিয়ান বিক্রি-প্রদর্শনের জন্য এখনো পুরোপুরি তৈরি নয়
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনের পর প্রথম দিনে এমন হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন অনেকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রথম দিন মেলার কোনো স্টলে পণ্য প্রদর্শন শুরু হয়নি। বিক্রিও শুরু করেনি কেউ। আর অর্ধেকের বেশি স্টল ফাঁকা। নেই ক্রেতা-বিক্রেতা।
অন্যদিকে প্রথম দিনে মেলায় যেসব ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন, তারা অধিকাংশ আশপাশের এলাকার। রাজধানী থেকে মেলায় আসা মানুষের সংখ্যা বেশ কম। যারা এসেছেন তারা হতাশা নিয়ে ফিরে গেছেন।
করোনার প্রকোপ ও নতুন ভেন্যুর কারণে এ বছর মেলায় দেশি-বিদেশি স্টল কমেছে
মালিবাগ থেকে বন্ধুদের নিয়ে মেলায় এসেছেন মুসফিক হুসাইন। তিনি বলেন, কি ভেবেছি, আর কি দেখলাম। সব ফাঁকা, খুবই ছোট আয়োজন। আর স্টলগুলো ছোট। বড় বড় কোম্পানিগুলোর স্টল খুব বেশি নেই।
মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, করোনার প্রকোপ ও নতুন ভেন্যুর কারণে এ বছর মেলায় দেশি-বিদেশি স্টল কমেছে। কমেছে বড় বড় কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ।
এ বছর বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল রয়েছে। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অর্ধেক।
এদিকে এবার মেলায় মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি স্টল রয়েছে। যা ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, তুর্কিসহ আশপাশের দেশগুলোর।
অন্যদিকে মেলায় প্রায় শেষ হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে’র নির্মাণ কাজ। বর্তমানে দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ এটিই। সেখানে মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এনএইচ/এমআরএম/জেডএইচ/জেআইএম