ব্যাংকিং খাতে সংকট অব্যাহত : সিপিডি
ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা আজ সংকটে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি। রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসের পর্যালোচনায় এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
সংস্থাটি জানায়, ব্যাংকিং খাতে এখন আর দুর্বলতা নেই। এখন সংকট তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ব্যক্তি মালিকানার ব্যাংকগুলোতেও এখন সার্বিক সুশাসনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ গবেষণা বিভাগের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পর্যালোচনায় বলা হয়, দেশে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি সহায়তা বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে পলিসি রেট কমানোর মোক্ষম সময়। এতে বিনিয়োগ চাঙা হবেও বলে মনে করে সিডিপি।
সুদহার ও ব্যাংকিং খাতের স্প্রেড কিছুটা সহনীয় হলেও উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে খেলাপি ঋণ বা মন্দ ঋণ। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ব্যাংকিং খাতে সংকট চলছে। সংকট প্রচ্ছন্নভাবে রয়েছে। নীতি ও আইনের প্রয়োজনে তা হয়তো দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক পর্ষদ রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য সংকট। ব্যাপক হারে বাড়ছে মালিকদের নামে বেনামে ঋণ। ফলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পর্যাপ্ত অর্থ মিলছে না। অর্থাৎ ব্যক্তি বিনিয়োগে সহায়তা দেওয়ার মতো ব্যাংক নেই।
গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে তৌফিকুল ইসলাম বলেন, সমস্যার কারণে ব্যাংকগুলো মুনাফা কমে যাচ্ছে। তাই সুশাসন জরুরি হয়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাতে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখাতের জন্য একটি কমিশন গঠনের কথা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। তবে সরকার সেটি গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু এটি জরুরি।
পলিসি রেট কমানোর তাগিদ : বিনিয়োগ চাঙা করতে ব্যাংকের রেপো সুদহার কমানোর পক্ষে সিডিপি। সংস্থাটি মনে করছে, মূল্যস্ফীতি, সার্বিক সুদহারসহ অর্থনৈতিক সূচক বিবেচনায় এটি কমালে বিনিয়োগে চাঙা ভাব আসবে। যদিও অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে।
এসএ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি