চলতি অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হবে ৪০ হাজার কোটি
২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাজেট ঘাটতি ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি। রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসের পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি।
সিপিডির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন। প্রতি বছর স্বাধীন গবেষণা প্রতিবেদনের আওতায় এই পর্যালোচনা করে থাকে সংস্থাটি।
এসময় সিপিডিরি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ গবেষণা বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংস্থাটি বলছে, বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের যে সক্ষমতা রয়েছে তাতে এই পরিমাণ ঘাটতি স্বাভাবিক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। রাজস্ব বাড়াতে চেষ্টা করছে তবে চলতি অর্থ বছরের বড় লক্ষ্য মাত্রার বিপরীতে সেটি পর্যাপ্ত নয়। রাজস্ব আদায় কিছুটা বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে বলে মনে করে সিডিপি।
এসময় রাজস্ব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজস্ব সংগ্রহে কম প্রবৃদ্ধি বলে দেয় অর্থনীতির গতি কম।
এখাতে সক্ষমতা বাড়তে যেসব সংস্কার ও উদ্যোগের দরকার ছিলো, তাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। কাজ চললেও অগ্রসর হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় আইনগুলো কার্যকর ও পাস হচ্ছে না।
অন্যদিকে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ২ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে রাজস্ব আহরণ কমবে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি : বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে সিপিডি। সিপিডি মনে করছে, এখানে গুণগত বিনিয়োগ দেখার কোন মাপকাঠি নেই। উপরন্তু টাকা খরচ করাটাই মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দেবপ্রিয় বলেন, কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে কি না সেটি দেখা হচ্ছে না। তাছাড়া বেশির ভাগ প্রকল্পই নানাভাবে ঝুলে যাচ্ছে, ব্যয় বাড়ছে। সময় বাড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা সেতুসহ সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোরও একই চিত্র। এজন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক সহায়তার ব্যবহারে গতি নেই। এতে করে সরকারের চাপ বাড়ছে। প্রশ্ন ওঠছে সপ্তম পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে।
তৌফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার নতুন পরিকল্পনায় মানব সম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এজন্য যে ৬টি মন্ত্রণালয় গুরুত্ব পূর্ণ তাদের পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
গত ৩ মাসে ব্যাংক খাত থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা নেয়া হয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক নয় বলেও মনে করে সিপিডি।
এসএ/আরএস/এসকেডি/আরআইপি