এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ: ব্রিটিশ এমপিদের সমর্থন চাইলো বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২১

তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান এলডিসি পরবর্তী পর্যায়ে বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে যুক্তরাজ্যের এমপিদের সমর্থন চেয়েছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ নভেম্বর) লন্ডনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য রুশনারা আলী এবং রুপা হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সমর্থন চান। এ সময় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরাও উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণ, শুল্ক ব্যবস্থায় সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং এলডিসি পরবর্তী যুগে কিভাবে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের বাজারে তার প্রশোধিকার ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিজিএমইএ সভাপতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণের পরও বাংলাদেশের জন্য যেন শুল্ক সুবিধা অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদানের জন্য রুশনারা আলী এবং রুপা হককে অনুরোধ জানান।

এ সময় ফারুক হাসান বাংলাদেশের উন্নয়নে অনাবাসী বাংলাদেশিদের (এনআরবি) যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, অনাবাসী বাংলাদেশিরা দক্ষতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, জ্ঞান এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখতে পারেন।

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকেই সে দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আবার অনেকেই রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য হিসেবে সেদেশের সরকারের উপর ব্যাপক প্রভাব রাখেন। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী শিক্ষাবিদ, গবেষক, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন।

তারা বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার কাঠামো দানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বিজিএমইএ সভাপতি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উচ্চ মূল্য সংযোজিত পণ্য এবং নন-কটন টেক্সটাইলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাজ্যের দুই সংসদ সদস্যকে অনুরোধ জানান।

ইএআর/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।