আগামী এক মাস পেঁয়াজের বাজার নাজুক থাকার শঙ্কা
আড়াই থেকে তিন-চার মাস দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর মতো পেঁয়াজের মজুত থাকা সত্ত্বেও আগামী এক মাস পেঁয়াজের বাজার নাজুক থাকার শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ শঙ্কার কথা জানান বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের বাজারে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ শতকরা ৮০ ভাগ, বাকি ২০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করা। মূলত ভারত থেকে বেশি আমদানি করা হয়। কিছু মিয়ানমার থেকে আসে। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অতিবৃষ্টির কারণে সেখানকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এর প্রভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ভারতের পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি এবং সেটা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে এরই মধ্যে চিঠি দিয়েছি। এনবিআরকে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়েছে।
ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পেঁয়াজের যথেষ্ট মজুত আছে আমাদের। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর সময়টাতে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে। তার আগে এক মাস হয়তো পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেন যৌক্তিকভাবে মূল্য প্রতিফলিত হয়, অতি মুনাফা যাতে না হয়।
তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে, দ্রব্যমূল্য অতিমাত্রায় নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা নজরে রাখার জন্য। পেঁয়াজের বাজার বেশি খারাপ হবে না, তবে উৎপাদন পরিস্থিতি ও ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে আগামী এক মাস নাজুক অবস্থা থাকবে। তবে গত কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমরা চারদিক থেকে চেষ্টা করছি, যতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। একমাস বাড়তি দাম থাকার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু আমাদের দেশে ৫ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে, যা দিয়ে আগামী আড়াই থেকে তিন মাস চলা যাবে। ভারত ছাড়াও মিয়ানমার থেকে যদি পেঁয়াজ আনা যায় তাহলে কিন্তু এতো প্রেসার পড়ার কথা নয়। তবে বৃষ্টির কারণে কিছুটা দাম বেড়েছে। তারপরও আমরা দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করবো।
আইএইচআর/এমকেআর/এমএস