স্বল্প সুদে ২০ বছর মেয়াদী গৃহঋণ
দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার আবাসন চাহিতা মেটাতে গ্রামীণ এলাকায় যত্রতত্র নির্মিত হচ্ছে নতুন বাড়ি-ঘর। এতে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ আবাদী জমি। এ অবস্থা থেকে কৃষিজমি রক্ষায় পল্লী এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ জন্য বহুতল বিশিষ্ট উন্নত আবাসন সুবিধা সৃষ্টিতে সরকারের একমাত্র গৃহঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) ‘বাংলাদেশ পল্লী আবাসনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে দেশের ২২টি এলাকায় মোট ৩৭৫টি চারতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিভবনে ইউনিট সংখ্যা হবে ৮টি। এতে ৩ হাজার ইউনিটে অন্তত ১৮ হাজার মানুষ উন্নত আবাসন সুবিধা পাবে।
এ প্রসঙ্গে বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. নুরুল আলম তালুকদার জানান, গ্রামাঞ্চলে ফসলী জমির যথেচ্ছা ব্যবহার রোধে বহুতল ভবনে কমিউনিটি আবাসনের এ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে কৃষিজমি ও পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রামের মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত নাগরিক সুবিধা পাবেন।
৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
‘বাংলাদেশ পল্লী আবাসনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা’র এ প্রকল্প হতে প্রতিটি গৃহ ইউনিট নির্মাণে একক ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। ঋণের সুদহার হবে বার্ষিক ৬ শতাংশ। ২০ বছর মেয়াদে পরিশোধযোগ্য এ ঋণে এক লাখ টাকার ঋণগ্রহীতাকে প্রতিমাসে ৭১৭ টাকা হারে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। মেয়াদশেষে একজন গ্রহীতা ১০ লাখ টাকার বিপরীতে পরিশোধ করতে হবে মাত্র ১৭ লাখ ২০ হাজার ৮০০ টাকা। -বাসস