সঠিকভাবে সম্পদের মূল্যায়ন করলে কালো টাকা কমবে ৭৫ শতাংশ
দেশের সম্পদ তদারককারী চার প্রধান সংস্থা সঠিকভাবে সম্পদের মূল্যায়ন করলে অর্থনীতিতে কালো টাকার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ (রোববার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও সম্পদ উন্নয়ন নীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সার্ভে অ্যান্ড ভ্যালুয়েশন কোম্পানিজ ফার্মস অ্যান্ড ইন্ডিভিজুয়াল কনসার্নস অ্যাসোসিয়েশন এ মত দিয়েছে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশের চারটি প্রধান সংস্থা যদি সঠিকভাবে সম্পদের মূল্যায়ন করে, সেক্ষেত্রে আমাদের অর্থনীতিতে কালো টাকার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।’
‘এর মধ্যে রয়েছে- রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের পূর্বে বর্তমান বাজারমূল্য নির্ধারণ, সম্পত্তি ব্যাংকে আমানত করার পূর্বে বর্তমান মূল্য নির্ধারণ, সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়ার পূৰ্বে সম্পত্তির বৰ্তমান বাজারমূল্য নির্ধারণ এবং ট্যাক্স রিটার্নের ক্ষেত্রে সম্পতির বর্তমান মূল্য নির্ধারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক অডিট রিপোর্টের মধ্যে ফিক্সড অ্যাসেট অথবা স্থাবর সম্পত্তির সঠিক বর্তমান মূল্য নিরূপণে দেশের অর্থনীতিতে যেমন রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধি পাবে, তেমনই অপ্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ যখন কমবে তখন দেশের অর্থনীতি বেগবান হবে। আর এই কাজ ভ্যালুয়েশন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করলে দেশ এবং জাতি উপকৃত হবে।’
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কাঠামোতে যে বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো জনগণের উন্নয়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করা। যা আজকের প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।’
তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে ধারণাটি পোষণ করতেন তা হলো- দেশের মানুষ যদি হতদরিদ্র থাকে তবে দেশও হতদরিদ্র থাকবে। কাজেই মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে যখন মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা যাবে, তখন দেশ সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।’
তারা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার অর্থনীতি ধারণায় সম্পদের সুষম বণ্টন ও সম্পদ সৃষ্টির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এ দুটি উপাদান মানব উন্নয়নের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দারিদ্র্য দূরীকরণের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এই মানুষটি।’
এমএএস/এমএইচআর/জেআইএম