শিল্পকারখানা খোলায় কারওয়ান বাজারে বেড়েছে বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ০১ আগস্ট ২০২১

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পোশাক কারখানাসহ রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলায় কারওয়ান বাজারে বেড়েছে বেচাকেনা। তবে ভিড় ছিল কম।

বিক্রেতারা বলছেন, গার্মেন্টস ও কিছু অফিস খোলার কারণে বাজারে আসছে মানুষ। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, কঠোর বিধিনিষেধে ক্রেতা আগের চেয়ে কম ছিল। তবে ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে বেশি। আর ঈদের পরপরই তাদের বেচাকেনা কম হয়েছিল। কিন্তু শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে রোববার (১ আগস্ট) পর্যন্ত কিছুটা বেড়েছে। 

রূপগঞ্জ থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি নিয়ে আসা শামসুদ্দিন বলেন, ‘বিধিনিষেধ শুরুর দিকে ৪০-৫০ মণ সবজি বেচতে পারতাম। আর ঈদের আগে বিক্রি ভালো ছিল, তখন দৈনিক ৫০-৬০ মণ বিক্রি হতো। ঈদের পর থেকে বিক্রি কমেছিল। তবে গতকাল থেকে আবার ৫০-৬০ মণ সবজি বিক্রি করছি। আজও ৬০-৭০ মণ সবজি নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য।’

karoyanbazar-4.jpg

কারওয়ান বাজারে মূলত রাত ১০টার পর থেকে বিকিকিনি শুরু হয়। দিনেও বিক্রি হয়। কিন্তু আগের মতো গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, গাদাগাদি অবস্থায় হাঁটাচলা করে, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে শত শত মানুষের কেনাবেচার ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের মুখে মাস্কও কম পরতে দেখা গেছে। মাস্ক না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

বাজারের উত্তর দিকে লা-ভিঞ্চি হোটেলের গলি থেকে শুরু করে কারওয়ান বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইত্তেফাক ভবন থেকে প্রথম আলোর অফিস পর্যন্ত এবং কিচেন মার্কেটের নিচে মাছের বাজারেও একই চিত্র দেখা যায়।

সেখানে কোনো ধরনের সচেতনতামূলক ব্যানার দেখা যায়নি। এমনকী সরকারি-বেসরকারি কোনো লোকও দেখা যায়নি, যারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দূরত্ব মেনে কাজ করতে সচেতন করবেন।

karoyanbazar-4.jpg

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে কারওয়ান বাজারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয়ে আসছে।

আবদুর হামিদ মিয়া নামে এক বিক্রেতার কাছে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি হেসে উড়িয়ে দেন। জানান, তাদের কিছু হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাজারে মাস্ক পরা ভালো লাগে না।

মাছের পাইকারি বাজারের আফজাল মিয়া নামে এক বিক্রেতার কাছে বাজারের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাছ বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ, মাছের দাম কমেনি। তবে বিক্রি কম ছিল। আজ মানুষ আসছে বিক্রিও বাড়ছে।’

karoyanbazar-4.jpg

এদিকে নূরজাহান চিকেন ব্রয়লারের মালিক নুরুন্নবী জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনার আগে দৈনিক প্রতি রাতে ৬০ হাজার টাকা আর দিনে ৪০ হাজার টাকা মিলে আগে লাখ টাকার মুরগি বিক্রি হলেও এখন ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি হয় একদিনে।’

ফল বিক্রেতা সুলায়মান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে তো নিয়মিত ফল বিক্রি করতে পারতাম ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কঠোর লকডাউনের পরে সেদিকে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয় এখন।’

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।